দেশের বহু শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখে। দেশের বাইরের শিক্ষাজীবন আপনাকে নতুন নতুন বন্ধু নির্বাচন, বৈচিত্র্যময় ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা অর্জন, বিশ্বভ্রমণ, পেশাগত সংযোগ তৈরি এবং নতুন সংস্কৃতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যপকভাবে সহায়তা করে। তবে বিদেশে পড়াশোনার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী মনে করে এটি তাদের সাধ্যের বাইরে। এক্ষেত্রে রয়েছে প্রচুর স্কলারশিপ যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এই স্কলারশিপগুলো বিমান খরচ থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ টিউশন ফি পর্যন্ত কভার করতে পারে।
বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যময় ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রদান করে। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থাও অনেক স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। বিদেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কোথায় স্কলারশিপ পাওয়া যাবে এবং আপনি কোনগুলোর জন্য যোগ্য তা বিশদভাবে জানা। একবার যদি এ ব্যপারে বিশদ তথ্য জেনে নিতে পারেন, তাহলে কেবল কোন দেশে যাবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেয়াই বাকি থাকে। এক্ষেত্রে ওস্তাদজী স্কলারশিপ সহায়তা টীম হতে পারে আপনার নিরাপদ সঙ্গী।
বিদেশে পড়াশোনার খরচ অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন: পড়াশোনার সময়কাল, সংশ্লিষ্ট শহরের জীবনযাত্রার খরচ, এবং আবাসনের ধরন। মূলত বিদেশে উচ্চশিক্ষার মোট খরচ কেবল একটিমাত্র সেমিস্টারের টিউশন ফি’র উপর নির্ভর করে না। কেননা, আপনার জীবনযাপনের খরচ, যেমন- খাবার, ভ্রমণ, এবং বিনোদন সংক্রান্ত খরচও এক্ষেত্রে হিসেবের মধ্যে রাখতে হবে। তবে, খরচ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা কৌশলী হতে হবে। যেমন ধরেন, আপনি কম খরচে থাকার জন্য রুমমেট খুঁজে নিতে পারেন বা নিজেই খাবার রান্না করতে পারেন।
স্কলারশিপের আওতায় কি কি খরচ পড়বে তা নির্ভর করে প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্থা বা ব্যক্তির উপর। বেশিরভাগ স্কলারশিপ টিউশন ফি, স্টুডেন্ট ফি, বইপত্র এবং অন্যান্য খরচও কভার করে। কিছু স্কলারশিপ আপনার জীবনযাত্রার খরচের একটি অংশও কভার করতে পারে। এক্ষেত্রে স্কলারশিপের শর্তাবলী ভালমত যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি কি কি খরচ কভার করতে পারবেন এবং একাডেমিক রেজাল্ট কতটুকু বজায় রাখতে হবে।
বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার, বেসরকারী সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত দাতারা অন্তর্ভুক্ত। নিজেরা বিদেশে পড়াশোনা করেছেন ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার মূল্য অনুধাবন করেন, এমন ব্যক্তিদের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই পরিচালিত হয় বা প্রভাবিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই পূর্ববর্তী স্কলারশিপ প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে। তাই, বিদেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় তা খুঁজে বের করার সময় পূর্বের স্কলারশিপ প্রাপ্তদের প্রোফাইল ভালমত দেখুন এবং পরামর্শের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে স্কলারশিপ পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি আমাদের স্কলারশিপ ডিরেক্টরিতে নির্দিষ্ট দেশের জন্য স্কলারশিপ খুঁজে পেতে পারেন।
স্কলারশিপ খুঁজে পাওয়ার ব্যপারে আপনার স্বচ্ছ ধারণা থাকলে এবার কী ধরনের স্কলারশিপ দেওয়া হয় ও সেগুলোর জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয়, আপনাকে তা জানতে হবে। বিভিন্ন স্কলারশিপের যোগ্যতা ও সুযোগ-সুবিধা বিভিন্ন ধরনের হয়। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আবেদন করলে আপনি নিশ্চয়ই যোগ্যতানুযায়ী যেকোনো স্কলারশিপ পেয়ে যাবেন।
এবার পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে, আপনার যোগ্যতানুযায়ী প্রস্তুতকৃত স্কলারশিপের তালিকা থেকে সেগুলোর জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয় তা জানা। স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়াটি একটু জটিল হলেও বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, প্রথমেই আপনি কোন কোন বৃত্তির জন্য আবেদন করবেন এবং কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা লিখে একটি চেকলিস্ট তৈরি করুন। এরপরে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (যেমন: ট্রান্সক্রিপ্ট, রেফারেন্স লেটার, প্রভৃতি) সংগ্রহ করুন। আবেদন জমা দেওয়ার আগে সবকিছু ভাল করে যাচাই করুন এবং সময়মতো জমা দিন।